বিপ্রতীপ অনুভূতির কান্না
যা হোক এবার আমার-তোমার সন্ধ্যে বেলার আবছা আলোয়
পাড়ার মাঠে পিঠের ‘পরে পিঠ্ লাগিয়ে দু’জন বসে
রক্ত-রাঙা আকাশ দেখার চুক্তিটা যে সাঙ্গ হলো।
শেষ অবধি মোরগ-ডাকা ভোরের বেলায় দিঘির ঘাটে
অন্ধকারের ঈষৎ কালোয় দিঘির জলে পা ডুবিয়ে
রক্ত-রাঙা আকাশ দেখার চুক্তিটা যে সাঙ্গ হলো।
সাঙ্গ হলো মধ্যরাতে একলা বসে বারান্দাতে
জোছনা-মাখা চাঁদের গায়ে তোমার কোমল মুখটা দেখে
কাব্য লেখার সকল প্রয়াস। শেষ হলো আজ ইচ্ছেটুকুন
তোমায় নিয়ে দুঃখ-সুখের, মন্দ-ভালোর ভাবনা ভাবার।
মুক্তি পেলো দিনের শেষে আমার সকল অকাজ গুলো!
যা হোক এবার সাঙ্গ হলো চিমটি কাটার চুক্তিটা যে।
তপ্ত দুপুর। আকাশ ভেঙে রৌদ্র ঝরে। নোনতা ঘামে
ভিজবে না আর রুমাল তোমার কলেজ থেকে ফেরার পথে
ক্লান্ত আমার দাঁড়িয়ে থাকার শর্তটা যে ভেস্তে গেলো।
সাঙ্গ হলো চুক্তিটা যে তোমার চোখে চোখটা রাখার।
তবুও ভালো তবুও ভালো, আমার সকল ভাবনাগুলো
সত্যি সত্যি হারিয়ে তোমায় আজকে পেলো মুক্তিটা যে!
যা হোক এবার জীবন আবার চলবে না হয় উল্টো পথে,
বুকের মাঝে উঠবে জেগে হয়তো সে কোন্ প্রাচীন আমি।
হয়তো তুমি হয়তো আমি থাকবো না আর কারুর মনে।
কিংবা মনের অতল তলে আমিও রবো তুমিও রবে।
থাকবে না আর দুঃখ কোনো হাজার বছর পেরিয়ে গেলে;
থাকবে কেবল শূন্যে ভেসে আমার লেখা কাব্যখানি।
হাওয়ার গায়ে লেপ্টে রবে ইচ্ছে আমার এবং আমি।