কাজ নেই কোনো
ছুট ছুট জীবনের এ প্রান্ত থেকে অপ্রান্তে
একটি বিয়ের পোশাক কিনবো বলে যাচ্ছি।
এখানে অপারগতার জয়জয়কার
সিএনজি মিটারে চলবে না বলে দেয় ছাপ ছাপ
পা দুটো বামান্দোলনের মতো
লোকবলহীন স্ট্রাইক ঘোষণা করে দিলো অকারণেই
অগত্যা নিয়ন্তাকে মেনে নিয়ে চলছি,
টলছিও হালকা!
সারাদিনের অক্লান্ত জীবন
কতো আর একভাবে ভালোবেসে যাবে?
হঠাৎ স্রষ্টার মিথ্যে বাণী সত্য হয়ে
কেয়ামত নেমে আসার মতো হট্টগোল লেগে যায়,
চৌদ্দশিকের ফাঁক গলে দৃষ্টি প্রসারিত করি,
এই ভেবে যে,
হয়তো এই সুযোগে কয়েকটি শব্দ পেয়ে যাবো
স্রষ্টার মতন শ্রেষ্ঠ হওয়ার।
ভিড় ঠেলে ঠেলে এগুচ্ছে জীবন
অথচ এক মুহূর্তে মনে হলো যেন স্বর্গে যাচ্ছি,
আমার বিষয় খতিয়ে দেখলো কারা যেন সরকারি পোশাকে,
কিন্তু আশয় দেখেনি ভুলে।
এমনি করে আশয়ের মধ্যে লুকিয়েই
আমাদের মৃত্যু চলে আসে সমস্ত চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে;
তখনও বিয়ের কাপড় কেনা হয়নি,
সিএনজি চেঁচিয়ে বললো,
সামনে রাস্তা বন্ধ, নাইম্মা হাইট্টা যান, সরকারি লোক মরছে।
ফিরে এসে শুনি সবার শাকিল ভাই মারা গেছেন,
নাম শুনে চিনতে পারিনি,
পরে কে একজন ছবি দেখালো
বুকের মধ্যে ট্রেনের হুইশেল শুনতে পেলাম স্পষ্ট,
মনে হলো,
সরকারি লোক এতো সহজেই ধরা দিয়ে দিলো?