কবিতারা ভালো নেই

কবিতারা ভালো নেই


ঠোঁট ভেঙে কেঁদে ওঠা শিশুটির মতো
কবিতারা অভিমানে কেঁদে ওঠে আজ।
ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে আবেগের উঠোন জুড়ে বসে
রক্তশূন্য কবিতার বৈঠক।

বিবস্ত্র অন্ধকারে কুৎসিত নেউলের সুরালো চিৎকার
ভাঙা কুলো, ছাই, মাছের আঁশ আর ডিমের খোসায়
আনে কবিতার নূতন মানে।
অথর্ব চিত্তজুড়ে ভয়ানক নেশা লাগে আর নবোঢ়ার
দেহে ভাসে মরা বকুলের গন্ধ; অমৃতের স্বাদ।
কবিতারা ভালো নেই।

শহরের পথে-ঘাটে কবি-কাক
চোখ বুজে হাঁটে। ওড়ে। শতোচ্ছিন্ন পাখনা-জুড়ে
বিষাক্ত নেউলের চিহ্ন— নখের, দাঁতের আর নিঃশ্বাসের।
কী বীভৎস ভালো লাগা! কালের গায়ে লেপ্টে থাকা
আধুনিক গঞ্জিকা-শৈলীর মোহনীয় টান।
কবিতারা ভালো নেই।

ঠোঁট ভেঙে কেঁদে ওঠা শিশুটির মতো
কবিতারা অভিমানে কেঁদে ওঠে আজ।
ভেজা রোদ্দুরে স্নান করে কবি-কাক
ভাঙা ডানা থেকে মুছে ফেলে রক্তের দাগ।
কবিতারা ভালো নেই। ভালো নেই।